সিস্টেম সফটওয়্যারের মৌলিক কাজ হলো কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। সিস্টেম সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করতে সাহায্য করে। সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সাধারণত কম্পিউটারে সিস্টেম সফটওয়্যারের ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসেও সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। যেমন-স্মার্ট ফোন, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ঘড়ি ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যারের মৌলিক কাজ ও ব্যবহারিক ক্ষেত্র আলোচনা করা হলো-
অপারেটিং সিস্টেমের নাম | মৌলিক কাজ | ব্যবহারিক ক্ষেত্র |
---|---|---|
ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেম (Batch Operating Systems)। যেমন- CP/M, MS-DOS, PC DOS | এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে প্রোগ্রাম বা উপাত্তগুলো পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করে । | Payroll System, Bank Statements ইত্যাদি কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। |
মাল্টিপ্রোগ্রামিং বা মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম (Multiprogramming or Multitasking Operating System) যেমন- IBM/VM, VM / SP CMS, Mac OS, UNIX, LINUX | একাধিক প্রোগ্রাম একসাথে চালাতে পারে বা ডেটা প্রসেসিং করতে পারে। | গৃহস্থলীর যন্ত্রপাতি, স্বয়ংচালিত বিনোদন সিস্টেম এবং নেটওয়ার্ক ফাইল সিস্টেম ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়। |
রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম (Real time Operating System)। যেমন- eCos, OS 9, OSE, RSX- 11, RT-11, Windows CE | এই অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রাম নির্বাহ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। | শিল্প ও সামরিক ক্ষেত্রে এই অপারেটিং সিস্টেম অধিকতর ব্যবহৃত হয়। |
টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম (Time Sharing Operating System)। যেমন- Windows 2000 server, Windows NT server | | এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম প্রসেসিংয়ের | সময়কে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করে দেয়। | সার্ভার কম্পিটউটারে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। |
ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম (Distributed Operating System)। যেমন- CHORUS, MACH, AMOEBA, DCE ইত্যাদি। | এটি মাল্টি প্রসেসর কম্পিউটারের মতো কাজ করে। | Client-Server System, Computer Server System, File Server System ইত্যাদিতে এটি ব্যবহৃত হয়। |
মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (Mobile Operating System ) । যেমন- করে। Android OS, Apple and Windows mobile OS I | স্মার্টফোনকে পরিচালনা করা। | বিভিন্ন ধরনের ছোট ডিভাইস যেমন- স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। |